আদালতের স্থিতাবস্থার কারণে কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত বহাল আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আদালতের স্থিতাবস্থার কারণে কোটা বাতিলের নির্বাহী সিদ্ধান্ত বহাল আছে। পাশাপাশি বিষয়টি এখন আদালতের। সেখানে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। এখন এখানে আদালতের আদেশের বাইরে নির্বাহী বিভাগের কিছু করার নেই।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যেটা যেখানে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সেটা সেখানে নিষ্পত্তি হবে। আদালতে না গিয়ে রাস্তায় থেকে এটা নিষ্পতি হবে না। পানির মতো সহজ জিনিসকে জটিল করছে কারা?’
এ ক্ষেত্রে কারও দ্বারা প্ররোচিত না হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাছাড়া জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে কোটা পদ্ধতির সংস্কার হওয়া উচিত। একদল মানুষ আছে যারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের প্ররোচনায় পড়ে আন্দোলনে যাবেন না। আদালতে না গিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন অযৌক্তিক।
কোটা সংস্কার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান, মালদ্বীপসহ পাশের দেশগুলোয় কোটা রয়েছে। কোটার সংখ্যাও কমে গেছে দিনে দিনে। নারীদের সুযোগ করে দিতে হবে। কোটা না থাকায় ৪০ বিসিএসে ৫৯ জেলা থেকে কোনো নারী পুলিশে চাকরি পায়নি। ১৭ জেলা থেকে ছেলেমেয়ে কেউ সুযোগ পায়নি বিসিএস পুলিশে। কোটার সংস্কার হওয়া উচিত।’
আদালতের বিষয় নির্বাহী বিভাগ সুরাহা করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ সমস্যার সমাধান করবে না, উচ্চ আদালত সমাধান করবেন। নির্বাহী বিভাগের অনেক নির্দেশনা আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে।’
সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যদি এটা আদালতের বিষয় না হতো তাহলে কমিশন গঠন করা যেত। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’
মন্ত্রী বলেন, এখনো যারা কোটা আন্দোলন করছেন তাদের বলি- আমি একজন শিক্ষক। আদালতের বিষয়টি আদালতেই নিষ্পত্তি করতে হবে।