ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদের বিরুদ্ধে মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগে করা দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হলো।
রোববার (২১ মার্চ) ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুটি মামলায় ১ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ (রোববার) খালেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ‘ক্যাসিনো’ চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর গুলশানের নিজ বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান ও ৫৮৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পরদিন দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনেই র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। মতিঝিল থানায় মাদক ও অর্থ পাচারসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে তার নামে।
এছাড়া একই দিনে রাজধানীর গুলশান থানায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে সিআইডি মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালায়। ওই বাসা থেকে ছয়টি দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের ১০ হাজার ৫০ ডলার, থাইল্যান্ডের ১০ হাজার ৪৯০ বাথ, ভারতীয় সাড়ে তিন হাজার রুপি, সৌদি আরবের দুই হাজার ৩২১ রিয়াল, মালয়েশিয়ান ৬৫৬ রিঙ্গিত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ দিরহাম রয়েছে।