হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন ঝুমন দাস আপন (২৩) নামে এক যুবক। তাকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু, আপনের পোস্ট স্বাভাবিকভাবে নেয়নি গ্রামবাসী। তার পোস্টের জের ধরে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রাম ঘেরাও করে রাখে। তাদের হাতে ছিল লাঠি-সোটা, রামদা।
পুলিশ কর্তৃক আটক আপন নোয়াপাড়া গ্রামেরই বাসিন্দা। আজ বুধবার সকালে গ্রাম ঘেরাওয়ের ঘটনাটি ঘটে। আপন কীভাবে পোস্টটি করেছেন আর এর পেছনে কে আছে, তা বের না করা পর্যন্ত ঘেরাও করা গ্রাম না ছাড়ার হুমকি দেন বাসিন্দারা। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন মামুনুল হকসহ হেফাজত ইসলামের নেতারা। সেই সূত্রধরে ঝুমন দাস আপন তার ফেসবুক আইডি থেকে আল্লামা মামুনুল হককে কটাক্ষ করে একটি পোস্ট দেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় নোয়াপাড়া গ্রামে।
গ্রামবাসীদের দাবি, হুজুরকে (আল্লামা মামুনুল হক) নিয়ে সে কটাক্ষ করেছে। সে এ সাহক কোথা থেকে পেয়েছে, আর তার পেছনে কে আছে- তাদের পুলিশ খুঁজে বের করে আইনের আওতায় না আনলে ঘেরাও করা গ্রাম তারা ছাড়বেন না।
ফয়জ উদ্দিন নামে দিরাই উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, ফেসবুকে পোস্টটি দেখার পর সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। কখন সকাল হবে শুধু সেই কথা ভেবে রাত পার করেছি। জীবন দেওয়ার হলে দিব; তবু ধর্ম নিয়ে কেউ যদি অশ্লীল কোনো কথাবার্তা বলে তাকে ছাড় দিব না।
পরে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান