আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে এ নিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করতে হবে।
বিএনপির নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে ও খালেদা জিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘পাগল এবং শিশুছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা অবান্তর। ’
শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জনরায় মেনে নেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। বিএনপির উদ্দেশ্যহীন এবং ভুল রাজনীতিতে কর্মীরাই এখন তাদের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। বিএনপির আন্দোলনের রঙ-রূপ এদেশের মানুষের অজানা নয়। কোনো যুৎসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের অপচেষ্টা করছে। বিএনপির আন্দোলনের মৌসুমি হাঁক-ডাক নেতাদের ওপর কর্মীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা মাত্র।
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো আইনের বলে নয়, শেখ হাসিনা সরকার টিকে আছে জনমানুষের আস্থা ও ভালোবাসায়। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা আর দেশের জনগণ। সরকার যে কোনো আইন প্রণয়ন করে জনস্বার্থে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটির আইনগত কাঠামো রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয়, নয় খেয়াল-খুশি মতো লেখা বা বলা নয়। বলা বা লেখার ক্ষেত্রে সত্যতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা থাকলে আইন কোনো বাধা নয়। তারপরও আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেজন্য শেখ হাসিনা সরকার ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে এখন গুজব পার্টিতে পরিণত হয়েছে। গুজব এবং অপপ্রচারই তাদের একমাত্র ভরসা, সেজন্যই বিএনপি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরোধিতা করে প্রকারান্তরে আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধিতা করছে। অপপ্রচার চালানো আর জনগণ থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখা বিএনপির স্বভাব। তাই জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনা জনসেবা ও দেশসেবার পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখেন। প্রকারন্তরে বিএনপির কাছে ক্ষমতা মানে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন। বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। তাইতো তাদের আমলে ভোগের পেয়ালা ওপচে পড়েছিল।