বঙ্গবন্ধুর পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত তিন হত্যাকারীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্যদাতাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণার পরও তাদের কোনো হদিস মিলছে না। অন্যদিকে, বাকি ২ জনের অবস্থান জানলেও আইনি জটিলতার কারণে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাশেদ চৌধুরী এবং কানাডা থেকে নুর চৌধুরীকে দেশে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঁচজন বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইন, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কমিটি সম্মিলিতভাবে কাজ করলেও কোনো অগ্রগতি নেই।
পাঁচ খুনির দুজনের অবস্থানের তথ্য সরকারের আছে কাছে। তবে, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন খান ও খন্দকার আব্দুর রশিদ কোথায় আছেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য ইন্টারপোলের কাছেও নেই।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা রাশেদ চৌধুরীর নাগরিকত্ব প্রশ্নে তদন্ত শুরু করেছে দেশটি। আর নূর চৌধুরীকে ফেরাতে কানাডার আদালতের শরণাপন্ন ঢাকা।
এদিেক দণ্ডিতদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া জটিল হলেও আশা ছাড়ছেন না আইনমন্ত্রী।
২০২০ সালে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন ২০ বছর ভারতে পালিয়ে থাকা আরেক খুনি আব্দুল মাজেদ। ওই বছরের এপ্রিলেই কার্যকর হয় তার মৃত্যুদণ্ড। আর জিম্বাবুয়েতে মৃত্যু হয়েছে আরেক হত্যাকারী আজিজ পাশার।