নিজ গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করা গাজী আনিস হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক ও তার স্ত্রীর কাছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা ছিলো বলে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক ও তার স্ত্রীর কাছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা পাওনা ছিলো গাজী আনিসের। বার বার তাগাদা দিয়েও সেই টাকা পাননি তিনি। এ অবস্থায় উল্টো যারা ঋণ দিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে নানাভাবে মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছিলেন তিনি।
একারণেই প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে গাজী আনিস আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা র্যাবের। তবে কেউ পরিকল্পিতভাবে আনিসকে আগুন লাগিয়ে হত্যা করেছে কিনা তা তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হেনোলাক্স গ্রুপকে ব্যবসার জন্য গাজী আনিস ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা দিলেও তা লাভ-আসল মিলে প্রায় ৩ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এরমধ্যে নুরুল আমিন ৭৪ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে গাজী আনিসকে ফেরত দিয়েছে বলে গ্রেপ্তারের পর স্বীকার করেছে নুরুল আমিন দম্পতি।
আওয়ামী লীগ নেতা, কবি ও ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাঠে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬ টায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
আত্মহত্যার আগে ফেইসবুকে এক পোস্টে আনিস দাবি করেন, হেনোলাক্স গ্রুপে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন তিনি। মৃত্যুর পর রাজধানীর শাহবাগ থানায় হেনেলাক্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুল আমীন ও তার স্ত্রী এবং এমডি ফাতেমা আমীনের নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন আনিসের বড় ভাই নজরুল।
এই ঘটনায় হেনোলাক্সের এমডি নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিন মঙ্গলবার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।