খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বেড়েছে : তথ্যমন্ত্রী

1289
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

দেশে সার্বিকভাবে খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১ মে) চট্টগ্রামে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের মজুরি ছয়-আটগুণ বেড়েছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন আগে ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা। এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রমিকদের আন্দোলনে গুলি চালানো হয়েছে। এখনকার চিত্র ভিন্ন। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশির দশকে স্লোগান হতো শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। অথচ এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম এলাকায় ৭ শ’ থেকে ৮ শ’ টাকার নিচে কোন শ্রমিক পাওয়া যায় না, ঢাকায়ও তাই, উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম। একজন রিকশাওয়ালা-ভ্যানচালক ভাই আগে যদি একদিন বাহন না চালাতো তার চুলাতে আগুন জ্বলতো না। এখন একজন রিকশাওয়ালা ভাই যদি মনে করেন আজকে বাহন চালাবো আগামীকাল চালাবো না, সেটি তার পক্ষে সম্ভব।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১০ টাকা কেজিতে চাল, বিনামূল্যে চালসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। এগুলো আগে কখনো ছিল না। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যখন সমস্ত পৃথিবীতে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। ভোজ্যতেলের দাম ইউরোপে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম ইউরোপে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউকেতে খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি। অনেকে বক্তৃতা করেন, কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। এতো বিশ্ব সংকটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, তখন তিনি ভারত থেকে যাতে দেশে আসতে না পারেন সেজন্য সমস্ত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল জিয়াউর রহমান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা করেছিলেন, যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে আসবেন। তার এই দৃঢ়চেতা মনোভাব, একইসাথে আন্তর্জাতিক নানা প্রেসারের কারণে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিল।

এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন