যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। তথ্য যাচাই না করেই প্রতিবেদন দেওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত না।
বিশ্বের ১৯৪টি দেশের ২০২১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ তোলে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার (১৭ এপ্রিল) এক ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিবেদন বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন দূরে। এটি তৈরিতে দুর্বল সূত্র থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তার।
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশে বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন পথ দূরের বিষয়বস্তুগুলো আছে যেগুলো আমরা বাইরে থেকে বাদ দিচ্ছি। যেগুলো বাংলাদেশ কখনই এন্টারটেইন করতে পারবে না। বিশেষ করে সমকামীদের অধিকার বিষয়গুলো যেটা বলা হয়েছে। যে কোয়ালিটি অব রিসার্চ ব্যবহার করা হয়েছে এটার মধ্যে একটা বড় ধরনের সমস্যা আছে। যেসব সোর্স থেকে ইনফরমেশন নেওয়া হয়েছে সেগুলো দুর্বল। এটা একটি পরিষ্কার পলিটিক্যাল এজেন্ডা।
প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ করা তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে তলব করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তারা প্রথমে ব্যাপারটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে। এটা একটা নিয়মের মধ্যেও পড়ে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটার প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্টের সঙ্গে কথা বলব।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকার অন্য কারও হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে না বলে জানান শাহরিয়ার আলম।