নির্দলীয় সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা বিএনপির। অন্যদিকে সংবিধান সমুন্নত রাখার কথা বলে অনড় ক্ষমতাসীনদের বিপরীতমুখী অবস্থান।
এমনই বাস্তবতায় ওয়াশিংটনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে সহযোগিতা চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের। যা নিয়ে রাজনীতিতে চলছে আলোচনার ঝড়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না আওয়ামী লীগ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে কোনো সমঝোতার আভাস কিনা এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। তৃতীয় পক্ষকে দেয়া হবে না ষড়যন্ত্রের সুযোগ। বলেন, বাহিরের লোক নিয়ে সরকার গঠন করা হবে, এটি কি জাতীয় সরকার বা নিরপেক্ষ সরকার হবে। কিন্তু এরকম সুযোগ সংবিধানে নেই।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি মনে করেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ড. এ কে মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে সহযোগিতা চেয়েছেন তা হয়তো শুধুই কথার পিঠে কথা। বলেন, বিএনপি নানান রকম কথা বলছে, তাই বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রকে চেষ্টা করতে বলছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়ার সমালোচনা চলছে খোদ ক্ষমতাসীন দলে। ক্ষমতাসীন দলের এ দুই নেতাই মনে করেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে বর্তমান কমিশনই যথেষ্ট।