রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে বাংলাদেশের পরিশোধিত ১০ শতাংশ অর্থ নিতে পারবে না দেশটি। ফলে এই অর্থ থাকছে বাংলাদেশেই।
এদিকে অর্থায়নে জটিলতা কাটাতে নতুন করে চুক্তিও করা হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির ওপর। যদিও রাশিয়ানরা চীনা মুদ্রায় অর্থ চেয়েছিল, তাতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ।
পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। এর ৯০ শতাংশই ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি অর্থের যোগান দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ৪ কিস্তিতে রাশিয়াকে এই অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ২২ কিস্তিতে ১০৭ কোটি ৩৯ লাখ ২৫ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় লেনদেনে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সংকট সমাধানে শুরুতে রাশিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, এটমস্ট্রম এক্সপোর্টকে জেপি মর্গানের মাধ্যমে টাকা দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রাশিয়ার ব্যাংক ভিইবি আরএফের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সেটি সম্ভব হয়নি। রাশিয়া ইয়েনের মাধ্যমে অর্থ নিতে চাইলে তাতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ। ফলে দু’দেশের মধ্যে নতুন চুক্তি হচ্ছে, যাতে বাংলাদেশের একটি ব্যাংকে ওই অর্থ গচ্ছিত রাখা হবে।