দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসারদের দাপট সব সময়ই। তবে বিদেশি পেসারদের ক্ষেত্রে এই কথা এতটা প্রযোজ্য হয় না। এই যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০ বছর আগে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। মালিঙ্গার পর প্রথম বিদেশি পেসার হিসেবে সেই কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ। বুধবার (২৩ মার্চ) স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৩৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয়বার পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, তাদেরই মাটিতে। সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ যখন ৬৬ রান তখনই আঘাত হানেন তাসকিন। তার শিকার হয়ে ৯ রানে ফিরে যান কাইল ভেরাইনে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা জানেমান মালানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। মালান ৫৬ বলে ৭ চারে করেন ৩৯ রান। এরপর সে অর্থে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের সামনে। তাসকিন উদযাপনের উপলক্ষ্য পেয়েছেন আরও তিনবার।
তাসকিনের পাঁচ উইকেটের তালিকায় কাইলে ভেরাইনে, মালান বাদেও আছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদা। প্রিটোরিয়াস ২০, মিলার ১৬ ও রাবাদা ৪ রান করেন। তাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁলেন তাসকিন। এ নিয়ে ৪৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার শিকার ৬৭ উইকেট।
বাংলাদেশি পেসারের বোলিং তোপে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ জয় পায় ৯ উইকেটে। এ ম্যাচ জেতার মাধ্যমে প্রোটিয়াদের ডেরায় সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে টাইগার বাহিনী। তিন ফরম্যাটে এটি লাল সবুজের প্রতিনিধিদের ২০০তম জয়।
অবশ্য তাসকিন পাঁচ উইকেট পেলেও প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম ভাঙন ধরান মেহেদী হাসান মিরাজ। জানেমাল মালানকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়া ডি কককে মাহমুদউল্লার ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নেয় তামিম বাহিনী।