ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি পাড়ি দিয়েছেন পাশের তিনটি দেশে। তবে যুদ্ধকবলিত দেশটিতে এখনো ৭০০ বাংলাদেশি আটকে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আইওএম-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সরকার। এদিকে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়েছে বাংলাদেশের দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ। এছাড়া বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পর্যবেক্ষণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনে বৈধ ও অবৈধ পথে অবস্থান করছিল প্রায় ১২০০ বাংলাদেশি। রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ শুরু করে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশের বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং মলদোভা সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে তাদের এখনই দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই।
এদিকে যুদ্ধাবস্থায় ইউক্রেনে আটকে আছে এখনও ৭০০ বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে রয়েছেন অবৈধ অভিবাসীও। নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা নিশ্চিত করে তাদেরকে সীমান্তের দিকে রওনা দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি, নিরাপদে থাকবেন। সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পরামর্শ মেনে চলবেন। যদি সম্ভব হয় সীমান্ত পার হওয়ার, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে ঘর থেকে বের হবেন।
এদিকে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে ২৯ নাবিকসহ আটকে আছে এমভি বাংলা সমৃদ্ধি নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। তবে জাহাজের সবাই নিরাপদ আছে বলে জানায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে বৈঠকে আলোচনা হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে। সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যুদ্ধের পক্ষে নয় বাংলাদেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পার্শ্ববর্তী তিনটি দেশে বাংলাদেশের হাইকমিশন যুদ্ধ পরিস্থিতি খবরাখবর সার্বক্ষণিক জানাচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।