উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিলেও ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নাকি পুরো সিলেবাসে হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
করোনা মহামারীর মধ্যে গত দুই বছর শ্রেণীকক্ষে ক্লাস হয়নি বললেই চলে। ভরসা ছিল অনলাইন ক্লাস। তবে শহরে কোনরকমে অনলাইন ক্লাস হলেও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা খুব একটা পায়নি।
এমন বাস্তবতায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু নৈর্বচনিক বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার দেড় মাস পর ফলাফলও দেয়া হয়েছে রবিবার। এখন শিক্ষার্থী অভিভাবকদের প্রশ্ন, ভর্তি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত নাকি পুরো সিলেবাসেই?
শিক্ষার্থীরা জানান, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে সমস্যা নেই। এখন তাদেরকে সম্পূর্ণ সিলেবাসেই পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যদিও এখনও কিছু বলা হয়নি, তবে তারা সম্পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হবে ধরে নিয়েই পড়াশুনা করছেন।
ফলাফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই হওয়া উচিত। তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না নিলেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই পরীক্ষা নেয়ার আভাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা যে সিলেবাসে হয়েছে, আমাদের মতামত হলো, ঠিক সেই সিলেবাসের ওপরই এই ভর্তি পরীক্ষাগুলো হওয়া যৌক্তিক এবং সেটাই ঠিক হবে। কাজেই এর বাইরে গিয়ে কেউ চিন্তা করবেন বলে আমরা মনে করিনা। তবে যদি কেউ করতে চায় তাহলে আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব।’
কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সচারচার আমরা যে পদ্ধতি অনুসরণ করি সেটাই করা হবে।’
তবে, শিক্ষাবিদদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষায় মানসম্মত প্রশ্ন করা সম্ভব। শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে আমরা শিক্ষার্থীদের ভালোমতো পরীক্ষা করতে পারবোনা। অবশ্যই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সেই পরীক্ষাটা করা সম্ভব।’
তবে যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক না কেন, তা দ্রুত জানানো উচিৎ বলে মনে করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরা।