সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশনে আগ্রহ নেই, সরকার পতন চায় বিএনপি

1396
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

সার্চ কমিটি ও তাদের গঠিত নির্বাচন কমিশন এক ধাক্কাতেই ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। নেতাদের দাবি, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে যে নির্বাচন কমিশন করা হচ্ছে তাকেও প্রতিহত করবে তারা। তাই, ক্ষমতাসীন দল শুধু নয়, তাদের আজ্ঞাবহ সব প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করাও বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। কমিশন পুনর্গঠনের কাজও অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে অনুসন্ধান কমিটি। যদিও তাদের আহবানে সাড়া দেয়নি বিএনপি।

বিএনপির তৃণমূল নেতাদের দাবি, নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠূ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হোক নির্বাচন কমিশন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কেউ কেউ হুশিয়ারী দেন, যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে তা প্রতিহত করতে রাজপথে আন্দোলন জোরালো করা হবে। কেউ কেউ আবার এই নির্বাচন কমিশন বা সার্চ কমিটি নিয়ে বিষোদগার করেন। তারা বলেন, সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের কোন মাথা ব্যথা নেই। তারা চান অবৈধ ও মাফিয়া সরকারের পতন।

নেতাদের মতে, অনুসন্ধান কমিটি কিংবা নির্বাচন কমিশন দিয়ে আর পার পাবে না আওয়ামী লীগ।

বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিনা ভোটে নিশি রাতের সরকার অবৈধ, তাদের গঠিত সার্চ কমিটি অবৈধ এবং তাদের দ্বারা যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সেটাও অবৈধ।

বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যারা এই সার্চ কমিটি গঠন করেছে তাদেরকেই মানে না বিএনপি। তাদের দ্বারা গঠিত সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই। বিএনপি নেতাদের দাবি সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।

তাদের দাবি, জনগণই ক্ষমতাসীন দল ও তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন ঘটাবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, এসব সার্চ কমিটি এক ধাক্কায় চলে যাবে। এই সব সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন কার কথা শুনবে। তারা সরকারের কথা শুনবে। তাই এইসব বন্ধ করার আহবান জানান আমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যারা দেশের মঙ্গল চান। যারা দেশে গণতন্ত্র চান তাদের সবাইকে নিয়ে বিএনপি একসাথে লড়াই করবে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন