এখন থেকে ৪০ বছরের উর্ধ্বে দুই ডোজ করোনার টিকা নেয়া সবাই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।এছাড়া শুধু শিক্ষার্থী নয় ১২ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেয়া হবে। রোববার সকালে মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ এর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক এ তথ্য জানান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে ৫০ বছরের উদ্ধে বুস্টার ডোজ দেয়া হলেও এখন থেকে বয়স আরো কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়েছে। চলতি মাসে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
এ সময় বাংলাদেশের নাগরিক যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি তাদের সবাইকে টিকা দেয়া হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯ কোটি ৭০ লাখ এবং সেকেন্ড ডোজ ৬ কোটিরও কিছুটা বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে পরীক্ষার মাধ্যমে করোনার আক্রান্তের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে প্রকৃত পক্ষে সংক্রমণ আরো বেশি। কারণ অনেকেই করোনার টেস্ট করাতে চায় না।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বাণিজ্য মেলা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সবাই।
সরকার গত মাস থেকে করোনা টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে। প্রথমে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়।
দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এজন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।