বিএনপি নিজেরাও জানে না, তারা কখন কী চায়: হানিফ

1581
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। আইনটি সংসদে তোলার আগে ও পরের দেওয়া দলটির বক্তব্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের আরেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও বিএনপির অবস্থান স্ববিরোধী ও সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি নিজেরাও জানে না, তারা কখন কী চায়। নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে সরকারকে বিব্রত করাই বিএনপির লক্ষ্য।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বকশী বাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউটে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগেও বিএনপি বলেছিল, সরকার চাইলে এই অধিবেশনেই আইন পাস করতে পারে। এখন আইনমন্ত্রী যখন সংসদে আইন তুললেন, তখন বলল তড়িঘড়ি করা হয়েছে।’ যে কোনো ইস্যুতে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেন এই নেতা।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইনের দাবিতে বিএনপি মাঠে আন্দোলনের চেষ্টা করেছিল। তখন কেউ কেউ বলেছিল, তিন দিনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। এর যখনই আইন সংসদে তোলা হল, তারপরই তাদের ভাষার পরিবর্তন হয়ে গেল।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে বিএনপির ভাষার পরিবর্তনে বোঝা যায়, তারা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন চায় না।’

বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিতে চায় জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরে যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল, আজও সেই অপশক্তির ক্রীড়নকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। এখনো সব অগ্রযাত্রা তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, নির্বাচন ব্যবস্থা তারা পঙ্গু করে দিতে চায়।’

এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রোববার (২৩ জানুয়ারি) সংসদে উঠেছে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের প্রস্তাব। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিয়ম অনুযায়ী এই বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে। কিন্তু আইনটি উত্থাপনের পরপরই এর বিরোধিতা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তাদের দাবি, এই আইনে হবে না সুখকর কিছু! রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তা এই আইনটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন