ডিসেম্বরেই দৃশ্যমান হবে মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ স্টেশন। দ্রুত এগোচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অর্থাৎ প্রথম নয়টি স্টেশনের ছাদে শেড নির্মাণের কাজ।
এদিকে ভাড়া নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা হলেও এখনো খসড়া চূড়ান্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। জনগণের সামর্থ্য বিবেচনায় তিনটি ধাপে খসড়া তৈরি করে এ সপ্তাহেই দেওয়া হবে মন্ত্রণালয়ে। জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
এ যেন পাখির চোখে স্বপ্ন দেখা। উত্তরা থেকে শুরু শেষ হবে কমলাপুরে। এরই মধ্যে ভায়াডাক্ট উঠে গেছে উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার। সেখান থেকে বাংলামটর, শাহবাগ টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর।
যদিও কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক পরিকল্পনায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হতে পারে উত্তরা থেকে আগারগাঁও। সেই লক্ষ্যেই অনেক দূর এগিয়েছে এই অংশের কাজ। শতকরা হিসেবে যা ৮৬.০৮ ভাগ।
রেললাইন তো বসে গেছে বহু আগে চলছে ইলেকট্রিক ও মেকানিক আর স্টেশন নির্মাণের কাজ। উত্তরা থেকে প্রথম পাঁচটি স্টেশনের ছাদের শেড নির্মাণ শেষ শতভাগ।
এই মুহূর্তে ওপর থেকে উঁকি দিলেই চোখে পরে ৫ আর ৬ নম্বর স্টেশনে বসানো হচ্ছে শেড। আসছে মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই কাজের পালা শেষ করার প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের। এগিয়েছে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বর্ধিতাংশের কাজও।
এ প্রসঙ্গে মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, চতুর্থ পর্যায়ের প্রাথমিক স্তরের কাজ আমরা শেষ করেছি। বেসিক ডিজাইনের কাজগুলোও আমাদের শেষ। এখন ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
এদিকে মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে নানা মহলে নানা কথা ছড়ালেও ডিএমটিসিএল এখনো তা চূড়ান্ত করেনি। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, কয়েকটি ধাপে দেওয়া হবে প্রস্তাবনা এই সপ্তাহেই জমা পড়বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, প্রস্তাবনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ভাড়া কত হবে তা নির্ধারিত হয়নি। আমাদের জনগণের সক্ষমতার কথা চিন্তা করতে হবে। সেভাবে ভাড়া ঠিক করা হবে।
বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ ভাগ।