যারা মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখে তারাই আবার মন্দির ভাঙে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি আজ বুধবার রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ‘ডেল্টা প্ল্যান-২০২১ বাস্তবায়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একটি গোষ্ঠী ধর্মকে অপব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করা। এরা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায়। তাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ধর্মান্ধদের কঠোরভাবে প্রতিহত করার আহবান জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হচ্ছে ডেল্টা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’। নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যানকে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান এই প্ল্যান বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার।
টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, নগর এবং গ্রাম দুটোকেই সমান বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হচ্ছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার পর এসডিজি-২০৩০ এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা-২০৪১ এর রোডম্যাপ অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধ্বংসস্তুপ দেশ পেয়ে বলেছিলেন এদেশে আমার মাটি ও মানুষ আছে। সেই মাটি ও মানুষকে সম্পৃক্ত করে এলাকাভিত্তিক সম্পদের উৎসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা চুড়ান্ত করা আছে, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব আছে।
সিভিএফ বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, নেদারল্যান্ডসের হেড অব মিশন প্রমুখ।