ডেমু ট্রেন কেনার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই না করায় এবং কেনার প্রক্রিয়ায় ভুল থাকায় ২০টি ডেমুর ১৭টিই এখন বিকল। এর পেছনে আর বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নয় রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এদিকে, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজন করে বিকল ট্রেনগুলো কম দূরত্বে চালানোর পরামর্শ সাবেক মহাপরিচালকের।
রেলে সেবার মান বাড়তে ২০১৩ সালে চীন থেকে ২০ সেট ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট–ডেমু ট্রেন কেনে সরকার। ব্যয় হয় ৬৫৪ কোটি টাকা। তবে কেনার নয় বছরের মাথায় এখন সচল মাত্র তিনটি। বাকি ১৭ সেট ডেমু ট্রেন দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে কমলাপুরের ওয়ার্কশপে। যদিও প্রকল্পের শুরুতে প্রতিটি ট্রেনের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৩০ বছর। ট্রেনগুলো ২০ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচলের কথা থাকলেও গড়ে চলেছে ৯০ কিলোমিটার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেমুর জন্য স্পেশাল ডক-ইয়ার্ড ও স্টেবল লাইনের দরকার ছিলো। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মীদের যে প্রশিক্ষণ দরকার, তাও ছিলো না।
এদিকে, চীনের তৈরি ডেমু ট্রেনগুলো কেনার প্রক্রিয়া ঠিক ছিল না বলছেন রেলমন্ত্রী। আপাতত এসব ট্রেনের পেছনে বাড়তি খরচে আগ্রহী নয় মন্ত্রণালয়। এখন যে তিন সেট ডেমু ট্রেন চলছে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ও জয়দেবপুর রুটে, সেগুলোতেও আছে যান্ত্রিক ত্রুটি।