ওয়াজে দেশ-বিদেশের বক্তাদের দিয়ে প্রচার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এহসান গ্রুপের রাগীব আহসান। শরিয়া মেনে সুদহীন বিনিয়োগে উচ্চ মুনাফা দেয়ার নামে আমানত নিয়েছেন ৫৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে। সারা দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা ১৫টি, অভিযোগ ১৬শোর বেশি। যেসব ইসলামি বক্তা ওয়াজের নামে এহসান গ্রুপের প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মসজিদের ইমাম ছিলেন রাগীব আহসান। পরে ঢাকার একটি এমএলএম কোম্পানিতে কাজ নেন ৯০০ টাকা বেতনে। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই গড়ে তোলেন এহসান গ্রুপ।
সেখানে নিয়োগ দেন কওমি মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও ইমামদের। তাঁরা মাহফিলে অধিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে শুরু করেন আমানত সংগ্রহ। এভাবে তোলা ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রুপ চেয়ারম্যান রাগীব ও তার ৩ সহযোগীকে আটক করে র্যাব।
৫৫ হাজার গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে বেশ কিছুদিন আত্মগোপনেও ছিলেন রাগীব। শরিয়া মেনে সুদহীন বিনিয়োগে উচ্চ মুনাফা দেয়ার নামে জালিয়াতির অভিনব কৌশল বের করেছিলেন তিনি। সারা দেশে ১৫ মামলা ও ১৬শ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
র্যাব আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দেশ-বিদেশের বক্তাদের দিয়ে ওয়াজে এহসান গ্রুপের প্রচারও চালান রাগীব। যেসব বক্তা এর সঙ্গে জড়িত, অভিযোগ পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে রাগীবকে গ্রেপ্তারের পর সামনে আসছে নানা অভিযোগ। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ওয়াজে এহসান গ্রুপের প্রচার চালানোর কিছু চিত্র।
লাখে দুই হাজার টাকা করে মাসিক মুনাফা দেয়ার কথা বলে আমানত সংগ্রহ করতো এহসান গ্রুপ। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, রাগীব নানা প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ নিয়ে নামে-বেনামে কিনেছেন জমি, গড়েছেন সম্পদ।