কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো হয়ে উঠছে অপহরণের নিরাপদ আস্তানা। গেলো আটমাসে অপহরণ হয়েছে দেড় শতাধিক। এতে মুক্তিপণ আদায়ের পাশাপাশি ঘটছে হত্যার ঘটনাও। এসব কাজে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সাথে যোগসাজশ আছে স্থানীয় অপরাধীদেরও। মোবাইলে মুক্তিপণের টাকা আদায় হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
টেকনাফের বাহারছড়ার অটোরিকশা চালক মাহামুদুল করিম। গেল ৩১ জুন তাকে অপহরণ করে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ। এরপর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েও তিনি ছাড়া পাননি। তার মৃতদেহ মেলে ১১ আগস্ট।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে দেড়শোরও বেশি। ৩৩টি স্থানে অপহৃতদের জিম্মি রাখার তথ্য আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। কেননা, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অপহরণের শিকার।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত একজনকে উদ্ধার করা হয় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে। আবার ক্যাম্প থেকে অপহৃত একজনের সন্ধান মেলে চকরিয়ায়। মুক্তিপণে ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরগুলো শনাক্ত হয় যশোর, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাতে ক্যাম্পের বাইরের সন্ত্রাসীদের সাথে রোহিঙ্গা গ্রুপগুলোর সাথে সম্পর্কের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে রোহিঙ্গাদের অপরাধের নেটওয়ার্ক ভাঙা না গেলে সামনে অপরাধ পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলে আশঙ্কা নাগরিক সমাজের।
গত চারবছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণসহ নানা ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪টি। যেখানে আসামী ২ হাজার ৬৮৭ জন।