দিনাজপুরে মা-ছেলে অপহরণ মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

1997
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, দিনাজপুর, নিউজগার্ডেন বিডি.কম
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় মা ও ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে সিআইডির এএসপিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার সলেমানশাহ গ্রামের বাসিন্দা লুৎফর রহমানের বাসায় সাত থেকে আট জন ব্যক্তি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য (সিআইডি) পরিচয়ে বাড়ির মালিককে খুঁজতে যান। লুৎফরকে না পেয়ে তারা তার স্ত্রী জহুরা বেগম (৫০) ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (২৮) তুলে নিয়ে যান এবং পরে মোবাইল ফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানানো হলে, প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দশ মাইল এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ২০ ঘণ্টা পরে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে রংপুর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সারোয়ার কবির সোহাগ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক হাবিবকে আটক করা হয়।

অপহরণে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পরবর্তীতে ফসিউল আলম পলাশ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।

সূত্র জানিয়েছে, গতকাল জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ২৬। মোস্তাফিজার রহমান নিজেই মামলাটি তদন্ত করছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে পাঁচ জনকে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে হাজির করা হয়।

দিনাজপুরের কোর্ট ইনস্পেকটর মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, গতকাল ১৬৪ ধারায় মামলার অন্যতম আসামি ফসিউল আলম পলাশের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর পাঁচ জনকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আসামিদের পাশাপাশি গতকাল জাহাঙ্গীর আলম, জহুরা খাতুন এবং আরও দুই সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন