চিত্রনায়িকা পরী মণির বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নানা ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড), ইয়াবা এবং আইস (ক্রিস্টাল মেথ) উদ্ধার করেছে। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে।
আজ বুধবার র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা কাছে এ দাবি করেন। ওই কর্মকর্তা পরী মণির বনানীর বাসায় অভিযানে ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করে বলেন, ‘পরী মণির বাসায় থরে থরে মদ সাজানো ছিল। হরেক রকম বিদেশি মদের বোতল ছিল সেখানে। এসব মদের বোতল তাঁর ড্রাইং রুমে ছিল কিছু। বেড রুমে রাখা ছিল। এমনকি বাথরুমেও মদ রাখা ছিল। এলএসডি ও আইসও পাওয়া গেছে বাসায়।’
‘পরী মণির বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও ভয়ংকর মাদক এলএসডি এবং আইসও (ক্রিস্টাল মেথ) পাওয়া গেছে। এ ধরনের মাদক সাধারণত সমাজের উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানরা সেবন করেন। অভিযানের সময় পরী আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ডের মাদক পছন্দ করেন’, যোগ করেন অভিযানে থাকা ওই কর্মকর্তা।
রাজধানীর বনানীতে আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে পরী মণির বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রথমে পরী মণি বাসায় র্যাবের সদস্যদের প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না। অভিযান শুরুর ৩০ মিনিট পর ওই বাসার ভেতরে ঢোকেন র্যাব সদস্যারা। র্যাবের দাবি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরী মণিসহ তাঁর গাড়ি চালক ও ওই বাসার দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে। রাত সোয়া ৮টার দিকে র্যাবের সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত একটি হাইস গাড়িতে করে পরী মণিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পরী মণি একটি চেকশার্ট পরা ছিলেন।
সম্প্রতি এলএসডি ও আইস সেবন ও বিক্রি করার অভিযোগে রাজধানীর কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এ মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত এমন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উচ্চবিত্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি বলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।