ডেঙ্গু: মন্ত্রী দিলেন ভয়, মেয়রের অভয়

2121
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

করোনা(কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যেই রাজধানীর হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে আক্রান্তের হারও। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। যদিও ২০১৯ সালের মতো ডেঙ্গু পরিস্থিতি অতটা খারাপ না বলে দাবি মেয়রদের। সেসময় জুলাই মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। বর্তমানে তা ১৬০০’র মতো।

তবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি থাকায় পানি জমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় দুই সিটি করপোরেশনই তৎপর মাঠে। অভিযান চলছে বিভিন্ন স্থাপনায়।

এ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধিদের আরও সম্পৃক্ত করতে দক্ষিণ সিটির নগরভবনে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ৭৫ কাউন্সিলর। সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডকে কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে এডিসের লার্ভা নিধন অভিযানের আহ্বান জানান।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ৩১ শতাংশ ঢাকা উত্তর সিটিতে আর বাকিটা দক্ষিণের। অর্থাৎ দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু প্রকোপ তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই কাউন্সিলরদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের জন্য আলাদা বরাদ্দ রেখেছে। তিনি দুই সিটির মেয়রদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন তারা মাঠে আছেন এবং অনেক উদ্যোমী।

মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অদৃশ্য জীবাণুর সাথে লড়াই যেহেতু করছি তাই ডেঙ্গুর বাহক দৃশ্যমান এডিস মশা নিধন করা সম্ভব। প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে। এডিসের উৎস খুঁজে পেলে দায়ী ব্যক্তিদের জেল জরিমানায় ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তাজুল ইসলাম।

তার মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিকদেরও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ মরতে চাইলে সরকার তাকে বাঁচাতে পারবে না। কারণ ঢাকা সিটিতে ২ কোটির বেশি মানুষ বাস করে। এত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা খুব কঠিন কাজ।

নগর ভবনে সোমবারেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়তা ও পর্যবেক্ষণে একটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে বলে জানান দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটির ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক নয়। তারপরও এটাকে গুরুত্ব দিয়ে কাউন্সিলরদের এলাকা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে ডেঙ্গুর উৎস খুঁজে লার্ভা নিধন অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের জনবল তাদের সঙ্গে থাকবে। আমরা চাই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হোক, আক্রান্তের হার কমে আসুক আরও।

এক্ষেত্রে সর্বাধুনিক পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি তার। তিনি বলেন, লার্ভার উৎস খুঁজে তা নিধন করা, কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকার এ অংশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দক্ষিণের এলাকা জনবহুল, পুরানা ঢাকা এবং এ অংশে সরকারি ভবন, কলোনি অনেক। সেসব জায়গায় এডিস মশার প্রজননও হয় বেশি।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খাল ও জমি দখলসহ সব রকম অনিয়মের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে কাউন্সিলরদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন