- ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে (২৭ জুলাই) পরমাণুবিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরে জন্মেছেন বলে নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দৌহিত্রের নাম রেখেছিলেন জয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক (আইসিটি) উপদেষ্টা তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পিছিয়েছিল। এ খাতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তার প্রস্তাবে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সে সময় বিরোধীপক্ষ ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে নানা কটাক্ষ, সমালোচনা করলেও আজ তথ্য ও প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষের হাতের মুঠোয়। দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী রূপকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণেই।
দেশে এখন ডিজিটালাইজেশনের বিপ্লব চলছে। অনলাইনে ঘরে বসে বিল দেয়া থেকে শুরু করে বড় বড় টেন্ডার কিংবা সরকারি অনেক কর্মকাণ্ড ডিজিটালি সম্পন্ন হচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজড হয়েছে, যা সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আর এই মহাযজ্ঞের মূল কৃতিত্ব জয়ের। সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেক পার্ক নির্মাণ, ফোর-জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটারের শুল্কমুক্ত আমদানি, ফ্রিল্যান্সিংয়ে উৎকর্ষ সাধন, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জয় উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে আছে। লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাকে। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন তিনি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ কোনো কর্মসূচি না থাকলেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জয়ের দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বিকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সীমিত পরিসরে কেক কাটা ও মিষ্টি বিতরণ করবে। এছাড়াও দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।