মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান না মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির নেত্রী অং সান সু চি। তিনি জনগণকে সেনাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, আজ সোমবার এলএনডির দেওয়া এক বিবৃতি এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার পদক্ষেপ।’
অং সান সু চির নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি জনগণকে এটি মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আজ সকালে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, দেশের ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অর্থাৎ মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর দখলে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। আজ সকালে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট।
গত কয়েকদিন ধরেই সু চির বেসামরিক সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা হয়। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আসছিল।
নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই মূলত সোমবার ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি লোকজনকে বলব চটজলদি এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া না দেখাতে। আমি চাই সবাই আইন মেনে চলবেন।’