তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্থিক, প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর প্রযুক্তি ব্লকচেইন।
রোববার (৩০ মে) ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-২০২১’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তি গ্রহণ না করলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে।
আইটি বা আইটিএস খাত থেকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তারা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছেন। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সবমিলিয়ে দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে ১ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে শিক্ষার শেষ নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় ডিজরাপটিভ টেকনোলজি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দিতে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে সেরা প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডাটা, রোবটিকস্, ব্লকচেইন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সারাদেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
পলক বলেন, বিভিন্ন অফিস পেপারলেস হয়েছে। গত ৬ বছরে ১ কোটি ৮১ লাখ ফাইল অনলাইনে নিষ্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ লালফিতার দূরত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ই-ফাইলকে ডিজিটাল ফাইলে এবং ই-নথিকে ডিজিটাল নথিতে রূপান্তরের কাজ চলছে। গুরুত্বপূর্ণ নথিতে ব্লকচেইন ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিওএলবিডি এর সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ এন করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫৬টি দল রেজিস্ট্রেশন করে। হোয়াইট পেপার মূল্যায়নের মাধ্যমে ৪০টি দলকে প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনীত করা হয়।