নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চুর বিরুদ্ধে উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ। গত ৯ মে রোববার চেয়ারম্যান বাচ্চু তার নিজ মোবাইল থেকে এই হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ মে) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ০১৭১২-৬৪৮৪৩২ নম্বর মোবাইল থেকে ফোন করে আবুল কালাম আজাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। এমনকি তাকে পুঠিয়ায় কর্মস্থলে চাকরি করতে দিবে না বলেও ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় ওইদিন তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যখন আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তখন চেম্বারে ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিভিশন কন্ট্রোলার অব একাউন্স, ঢাকা এডিশনাল সিজিও, অফিসার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ সবাইকে জানানো হয়েছে।
জনপ্রতিনিধির এমন হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দাবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিল পাসকে কেন্দ্র করে এই হুমকি। এর আগেও চেয়ারম্যান বাচ্চু তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি এই কর্মকর্তা।
পুঠিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, আমি কি খুনি, যে তাকে হত্যার হুমকি দিব?
তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা একজন ঘুষখোর। শিক্ষকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীরা তার হাতে জিম্মি। টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দিনের পর দিন হয়রানির স্বীকার হন। আবার ঘুষ দিলে কাজ হয়।
তিনি বলেন, বিল নেয়ার জন্য একজন ইউপি মেম্বার তার কাছে গিয়েছিল। তাকে বিল না দিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি তার কাছে মোবাইল করলে তিনি বলেন কে বলছেন। আপনারাই বলুন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম্বার থাকে না। ওই কর্মকর্তা ঘুষ ছাড়া কোন ফাইল ছাড়েন না। এর আগেও উপজেলার সব জনপ্রতিনিধি তাকে উপজেলা সমন্বয় কমিটি থেকে বয়কট ঘোষণা করেছিলো। কিন্তু এতো কিছুর পরও তিনি নিজেকে সংশোধন না করায় ফোন করে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।