সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন মির্জা ফখরুল

35
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে সেটা সম্পূর্ণ প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার- এ ব্যাপারে বিএনপির কোনো বক্তব্য নেই। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রস্তাব আমরা দলগতভাবে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। বিএনপি মহাসচিব  বুধবার ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামল যে ১৭ বছরের গার্বেজ রেখে গেছে তা ১৭ দিনে বা ১৭ মাসে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, এতে সময় লাগবে। এজন্য অধৈর্য্য না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ধৈর্য্য ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, তবে সবগুলো সংস্কারের কাজ হাতে নেয়ার প্রয়োজন এই সরকারের নেই। সেগুলো আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আসা পার্লামেন্ট সম্পন্ন করবে। তবে এই সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা।

সাম্প্রতিক ৩ উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী এবং যোগ্য মানুষ। তিনি যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তাকেই উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করবেন। তবে বিএনপির পরামর্শ থাকবে,এ ব্যাপারে যেন তাঁরা সতর্ক থাকেন,এই নিয়োগে যেন বিতর্কিত কাউকে না নেয়া হয় বা কোনো বৈষম্য না রাখা হয়। এ ব্যাপারে ভুল হয়ে থাকলে তাঁরাই সেটা সংশোধন করবেন বলে আমরা আশা করি।’

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপি সভাপতি শরীফ হোসেন,সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।

দ্রব্যমূল্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। শুধু রাজনৈতিক সংষ্কার নয় অর্থনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারেও সরকারের উচিৎ হবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এর আগে বিএনপি মহাসচিব ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শেষ দিকে গত ৪ আগস্ট বিএনপির এই জেলা কার্যালয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আগুনে ভস্মিভূত করে বলে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন