নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ শহীদ নূর হোসেন দিবসে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে গণজমায়েত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় জিরোপয়েন্টে ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল করে রেখেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’সহ নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন। আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, মাঠে ছিল বিএনপি-যুবদল-মহিলা দলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ শহীদ নূর হোসেন দিবসে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে গণজমায়েত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় জিরোপয়েন্টে ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগানে উত্তাল করে রেখেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’সহ নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন। আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নয়, মাঠে ছিল বিএনপি-যুবদল-মহিলা দলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরোপয়েন্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদীদের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীরা। বক্তব্যে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া রক্তচোষা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ অবশ্যই ফিরবে। তবে তাদের ফেরানো হবে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর জন্য। আওয়ামী লীগের রাজনীতি গণহত্যার রাজনীতি। এখন বিএনপি, জামায়াত ও বাম বলে আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। যারা বিভাজনের পথ তৈরির কাজ করছে, তাদেরও বিচার করতে চাই। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, হিন্দুস্থান বসে হুমকি দিবেন গুলিস্তানে এসে সংঘর্ষ করবেন এই সুযোগ ছাত্র জনতা দেবে না। ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে এটি আর হবে না, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যতদিন বিচার না হবে, ততদিন তারা জনসম্মুখে আসার কোন অধিকার নেই। আওয়ামী লীগের নৃশংসতা দেখেছি পিলখানায়। তাদের নৃশংসতা দেখেছি শাপলা চত্বরে। আগে আলেমদের মুখ থেকে মাইক কেরে নেওয়া হত। গুম খুন নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, আসিফ নজরুল স্যারকে জেনেভায় হেনস্থা করা হয়েছে। আসিফ নজরুল স্যারের প্রতি ছাত্র জনতার আস্থা রয়েছে। অবিলম্বে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করুন। বিদেশের দূতাবাসের আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা রয়েছে তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের বলতে চাই অভিজ্ঞতা দিয়ে তরুণ সমাজকে দমিয়ে রাখা যাবে না। অতীতের অ্যানালগ রাজনীতি দিয়ে আর হবে না। আর কোন বিভাজন তৈরি করবেন না। শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য আমরা রক্ত দেইনি। ছাত্র জনতা গণঅভ্যত্থান নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ আপনাদের হাতে দেওয়া হবে এটা আপনারা ভুল ভাবছেন। নির্বাচন রাষ্ট্র সংস্কারে একটি অংশ। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের পরে নির্বাচন হবে। আমরা মামলা দেই আর একদল ফোন দিয়ে বলে মামলা উড্রো করেন। আমরা খুনি শেখ হাসিনাকে যেতে বাধ্য করেছি। এটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে বাংলাদেশ থাকবে অনড়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, শেখ হাসিনা রক্তচোষা আচরণ আমরা ভুলে যাইনি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। তারা বলেছিল গুলিস্তানে আসবে। ছাত্র জনতা শ্রমিক মজুর সবাই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। জুলাই আন্দোলনের এই শক্তিতে বিভাজিত করা যাবে না। দিল্লি থেকে ঢাকায় কোন সিদ্ধান্ত হবে না। ঢাকার সিদ্ধান্ত দেশের মাটি থেকে হবে। ঢাকার সিদ্ধান্ত হবে শ্রমিকের ভাইয়ের ঘাম থেকে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নেই। যারা আছে তারা দেশপ্রেমিক। তারা দেশকে রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত। ২৪-এর তরুণ প্রজন্ম ভয় পায় না। বিএনপি-জামায়াত, ডান বাম সকলে এক টেবিলে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর দেশ প্রতিষ্ঠা করব। এই লড়াইয়ের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে চলতে প্রস্তুত। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসন ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেও হয়েছে। বাংলাদেশে নতুন সংবিধান রচনা করেই ছাড়বো। বাংলাদেশের মাটিতে আর কোন মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। এই লড়াই চলবে।