কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না: জ্বালানী উপদেষ্টা

261
শেয়ার করতে ক্লিক করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেমিনারে বক্তারা অনিয়ম দুর্নীতি দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসআরএফ এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম (ইআরপি) এর পরিচালক অধ্যাপক  ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সারদার শাহদাত আলী, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) এর প্রধান উপদেষ্টা মি. কি চাংলিয়াং, বুয়েট এর  পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শর্মিন্দ নীলর্মি,  সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর গবেষনা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর  সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা ও মোঃ মাহিন সরকার।
আলোচকরা বলেন রাস্তাঘাট, বন্দর, জ্বালানি ব্যবস্থা এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হতে হবে এবং ভবিষ্যতের চাহিদাও পূরণ করতে প্রস্তুত হতে হবে। অবকাঠামো কেবলমাত্র ভৌত কাঠামো নয়; এটি এমন একটি স্থিতিশীল ভিত্তি গড়ে তোলার ব্যাপারে যেখানে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়, খরচ কমানো সম্ভব হয় এবং জীবনের গুণগত মান উন্নত হয়। তারা বলেন, অবকাঠামো উৎপাদন খরচ কমানোর সাথে গভীরভাবে যুক্ত, যা সরাসরি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে প্রভাবিত করে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সাহসী অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রয়োজন, যার মধ্যে দক্ষ পরিবহন করিডোর, আধুনিক বন্দর এবং স্থিতিশীল জ্বালানি ব্যবস্থা তৈরি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
শেয়ার করতে ক্লিক করুন