প্রতিবছরের মতো এবারও রমজান মাসে আসছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছে ৪৭ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। এ হিসাবে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষে ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে রেমিট্যান্স।
রোববার (৯ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি মার্চের প্রথম ৭ দিনে এসেছে ৪৭৬ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার) রেমিট্যান্স। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬ কোটি ১২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ কোটি ১৪ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল মার্চ মাসে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বৈধ পথে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
২০২২ সালের মার্চের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে মোট এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই সুযোগ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার।