দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বেশিরভাগই হয় আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি ডলার সংকটে তা স্পষ্ট হয়েছে অনেকটাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বছরের শুরুতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়, বড় অংকের আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে মূল্য যাচাইয়ের। মিলেছে এর সুফলও। বছর ব্যবধানে এলসি কমেছে ১ হাজার ৪শ’ কোটি ডলারের।
এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর রপ্তানি তালিকায়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বাড়তি নজরদারির।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, বছর ব্যবধানে এলসির সংখ্যা প্রায় সমান হলেও এলসির পরিমাণ অথ্যাৎ অথমূল্য অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। তিনি জানান, আমাদানি পণ্যের পাশাপাশি এখন থেকে রপ্তানি পণ্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি আহ্বান জানালেন, সিদ্ধান্ত কার্যকরে কঠোর পদক্ষেপের। তিনি জানান, কেউ ওভার ইনভয়েস করে টাকা নিয়ে যাবে সেটা খেয়াল রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব।
যদিও এ নিয়ে বিভক্ত ব্যবসায়ী মহল। এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। অন্যদিকে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন বিকেএমইএ সভাপতি মো. হাতেম।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ জানান, দশ টাকা পণ্য দেশ থেকে পাঁচ টাকায় রপ্তানি করল তাতে দেশ থেকে পাঁচ টাকা পাচার হয়ে গেল। তাই এ ধরণের প্রত্যেক কার্যক্রম দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।
আর বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের সংঙ্গে আমি একমত নয়।
এদিকে রপ্তানিতে কঠোর নজরদারি হলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা।