আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা পারেনি। আমরা নিজেদের টাকায় সেতু করেছি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৪৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। শত সমস্যার মধ্যেও আমরা দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রেখে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের গঠনতন্ত্রে আছে, সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি দলের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক দুই জনই সাজাপ্রাপ্ত। অথচ, তারাই সেই দলের নেতা। সুতরাং, সেই দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে না। যারা তুলনা করে ভুল করেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দল গঠন হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বিএনপি মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। তারা সন্ত্রাস করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের তুলনা হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের তুলনা কখনও বিএনপির সঙ্গে হয় না। কারণ, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য। আর বিএনপি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে অবৈধভাবে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী হিসেবে। বিএনপি নিজেরা নিজেদের গঠনতন্ত্র মানে না।
তিনি আরও বলেন, কথা দিয়েছিলাম ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব, সব ঘর আলোকিত করেছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। আমরা বিদ্যুতে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। আগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আসতে সময় লাগত ২২ ঘণ্টা। আর আজ সকালে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে গেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে পদ্মা সেতুর কল্যাণে। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়েই চলে। কেউ অপবাদ দিলে মানব না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদেরকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করে কীভাবে। ২০০৮ সালের নির্বাচন তো সবাই মানে। সেই নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন।
এদিকে সমাবেশ শেষে বিকেলে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি।