সাগর-রুনি হত্যা: বিচার নিয়ে হতাশ পরিবার

1185
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

১১ বছর পেরিয়ে গেছে, তবু সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার পায়নি পরিবার। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য এক অভিনব প্রতিবাদ করার কথা জানিয়েছে তাদের পরিবার। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক যুগ সামনে রেখে আয়োজন করা হয়েছে এক প্রতীকী প্রদর্শনীর। ‘সাগর-রুনি ক্রাইম সিন ডু নট ক্রস’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় যেখানে বারান্দার একপাশে ঝুলছে শাড়ি, পাশেই শিশুর জামা। যেন মায়ের বুকে ছোট্ট সন্তান। ১০ জন শিল্পীর আঁকা চিত্রকর্ম ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে সাগর-রুনির ব্যবহার করা জিনিসপত্র, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও তাদের ছবি নিয়ে এই প্রদর্শনী। মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমানদের বাড়িতেই এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে (ফ্ল্যাট বি ২-১, কালিন্দী, ৩৬ ইন্দিরা রোড, ঢাকা)। প্রদর্শনী চলবে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

২০১২ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি। সেসময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা হবে খুনিদের।

এরপর, ঘণ্টা, মাস, বছর পেরিয়ে কত কি যে হলো, শুধু প্রাপ্তির খাতায় রইলো নিদারুণ শূন্যটা। আদালতের ধুলো পড়া বারান্দায় পড়ে রইলো তদন্তের ব্যর্থতা।

সাগর রুনি হত্যার বিচার চেয়ে ১১ বছর ধরে আন্দোলন করছেন তাদের সহকর্মীরা। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। মাছরাঙা টেলিভিশনের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে ব্যর্থ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সেটা তারা স্বীকার করলে অন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

এখন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতেই যেন লজ্জাবোধ করেন মেহেরুন রুনির ভাই নওশের। তিনি বলেন, তদন্তে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি নেই। সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া এ হত্যার বিচার আসলে সম্ভব নয়। ১১ বছরেও যেহেতু বিচার পাইনি, তাই আমরা বিচার এক্সেতেও এখন লজ্জা পাই। আমরা বিচার চাইবো কার কাছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকারও চায় সাগর-রুনি হত্যার বিচার হোক। তদন্ত শেষ করতে সবাই সচেষ্ট বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, বিচার তো আমরা করতে পারবো না আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এ তদন্ত শেষ হোক।

সাগর রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ৫ মার্চ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন