তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর পরই উদ্ধার কর্মীর দিনরাত এক করে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সময় যত যাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাও তীব্র হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এতে দুই দেশে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। এসব ভবনের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী ও সাধারণ মানুষ। তবে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত ও বৃষ্টি।
দেশের এ দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
ভূমিকম্পের পরই তুরস্কের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ। বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে ইতোমধ্যে তুরস্কের জন্য সহযোগিতা পাঠিয়েছে।