প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্রয়মূল্য দিলে সবক্ষেত্রে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গ্যাস-বিদ্যুৎ প্রয়োজন অনুযায়ী দেয়া যাবে। তবে অন্তত উৎপাদন মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নিজস্ব প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, ‘এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয়। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। ইংল্যান্ডে দেড়শ ভাগ দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু এখনও সেই পর্যায়ে যাইনি। তবে আমি আবারও বলব, গ্যাস বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেয়া যাবে।’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, তাছাড়া কত ভর্তুকি দেয়া যায়। আমরা এ ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব। ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিখাতে, খাদ্য উৎপাদনে। আমরা করোনা যাতে মোকাবিলা করতে পারি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। স্বাধীনতার পরে এ পর্যায়ে আসতে পারবে কেউ ভাবতে পারেনি।
মূল্যস্ফীতি বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত সহজ হয়ে যায়। নিজেদের বাজার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পারে। একটা চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে। মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। আমি বলেছিলাম নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করব। করেছি। কারও সমর্থন পাচ্ছিলাম না। আমার সমর্থন ছিল আমার জনগণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ ব্যবসাবান্ধব হয়েছে। এখন ব্যবসা করতে হাওয়া ভবনের মতো আর কাউকে অর্থ দিতে হয় না। বিনিয়োগ ভবন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।