ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের টিকিট পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পে ঝলকে দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা জিতেছে ২-১ গোলে। ২ ম্যাচ জেতায় ৬ পয়েন্ট হলো ফ্রান্সের। পরের ম্যাচে জিতলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ১৯ মিনিটের সময় ফ্রান্সের সামনে গোলের দারুণ এক সুযোগ এসেছিল। রাফায়েল ভারানের পাস দেয়া বল দৌড়ে ধরতে যাচ্ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ডি-বক্সের অনেকটা আগে তাকে ফেলে দেন ডেনমার্কের আন্দ্রেস ক্রিস্টিয়ানসেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে তাকে হলুদ কার্ড দেখান। ফরাসি তারকা ফাউলের শিকার না হলে ফ্রান্স গোল পেয়েও যেতে পারত।
সেই ফাউলের ফ্রিকিক নেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। তার নেয়া শটে পা লাগান আঁদ্রি রেবিওট, ডেনমার্কের জালে বল প্রবেশও করতে যাচ্ছিল। কিন্তু আঁদ্রি রেবিওটের সেই শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাস্পার স্মাইকেল। ১০ মিনিট পর ড্যানিশ দুর্গে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে ফ্রান্স। কিন্তু রক্ষণ আর স্মাইকেলের সমন্বিত দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা।
৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে ডেনমার্ক। ডি-বক্সের ভেতর এসে বুলেট গতির শট নেন আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস। তার শটটি চলে যায় গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। ফলে গোল পাওয়া হয়নি ক্যাস্পার হুলমান্ডের শিষ্যদের।
বিরতি থেকে ফিরে দুদলের আক্রমণের ধারই কমে। তবে ৬১ মিনিটের মাথায় গোল ঠিকই পেয়ে যায় দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা। থিও হার্নান্দেজের পাস থেকে এ সময় চোখ ধাঁধানো গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও গোল পেয়েছিলেন তিনি। এমবাপ্পে জোড়া গোল করেছিলেন গত বিশ্বকাপের ফাইনালে।
পিছিয়ে পড়লেও ডেনমার্ক একটুও দমে যায়নি, তাদের শরীরি হাবভাব দেখে অন্তত তেমনটাই বলবেন ফুটবলবোদ্ধারা। ৭ মিনিট পর গোল শোধও করে ফেলে তারা। এ সময় জোয়াকিম অ্যান্ডারসনের হেড দেয়া বল মাটিতে ড্রপ করে ক্রিস্টিয়ানসেনের সামনে চলে আসে, তিনিও মাথা উঁচু বলে হেড নেন, হুগো লরিসকে ফাঁকি দিয়ে যা ফ্রান্সের জালে প্রবেশ করে।
এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যাচের ৬ মিনিট বাকি থাকতে। অ্যান্তোনি গ্রিজম্যানের ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা শটে আলতু পা লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নতুন প্রজন্মের এ সেনসেশন। গোল করেই গ্যালারিতে গিয়ে উদযাপন করেন তিনি।