এবার বাস্তবে রুপ নিচ্ছে একটি পরিকল্পিত শিল্পনগরীর স্বপ্ন। পূর্ণতা পাচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার সাত বছরের চেষ্টা। আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর ৪টি কারখানায়। আজ রোববার (২০ নভেম্বর) এসব কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই শিল্পনগরীতে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে কারখানা নির্মাণে জমি নিয়েছে ১৩৭ প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজার থেকে দৃষ্টিনন্দন এই সড়ক আপনাকে নিয়ে যাবে এক নতুন বাংলাদেশের ঠিকানায়। দশ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক যুক্ত হয়েছে দেশের প্রথম পরিকল্পিত শিল্প নগরে। যেখানে ৩০ হাজার একর যায়গাজুড়ে চোখে পড়বে অসংখ্য নির্মাণ আর উৎপাদনযজ্ঞ।
পরীক্ষামূলক উৎপাদনে থাকা চার কারখানার একটি টিকে গ্রুপের সামুদা কনস্ট্রাকশন। চার একর জমিতে এর নির্মাণ ব্যয় প্রায় শত কোটি টাকা। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে দেড়শ মানুষের।
অত্যাধুনিক এই কারখানায় উৎপাদন হচ্ছে ভবন নির্মাণের পাইল। এতদিন এসব পণ্য চীন ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করতে হত। এখন এ ধরনের পণ্য দেশেই উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
পরীক্ষামূলক উৎপাদনে থাকা বাকি তিন কারখানা হল জাপানি বিনিয়োগকারীদের নিপ্পন স্টিল, ভারতীয় কোম্পানি এশিয়ান পেইন্টস ও দেশিয় বিনিয়োগে নির্মিত ম্যাগডোনাল্ডস স্টিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শিল্প নগরে নির্মাণ চলছে ১৫টি কারখানার। শিগগিরই শুরু হবে আরও কয়েকটির। এ পর্যন্ত জমি পেয়েছে ১৩৭ দেশি-বিদেশি কোম্পানি।
শিল্প নগরের প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ। স্থাপন করা হয়েছে গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ ও সরবরাহ ব্যবস্থা। এখন চলছে সমুদ্র থেকে শিল্পনগর রক্ষা বাঁধ, পানি ও বর্জ্য শোধনাগার, শ্রমিকের বাসস্থান, প্রাকৃতিক জলাধার, প্রশাসনিক ভবনসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ। পাশাপাশি পানি সরবরাহ নিশ্চিতেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে একাধিক প্রকল্প।