সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘ডিকাব টক’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় অনেকে আহত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন। এটা নিশ্চয়ই উদ্বেগের বিষয়।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের ম্যান্ডেট নেই জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, এটা (নির্বাচন) নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। কারণ এ বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো ম্যান্ডেট নেই। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের বিষয়। বাংলাদেশ সরকারের বিষয়। সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছ থেকে আদেশ না পাওয়া অবধি এ বিষয়ে কোনো কথা বলার এখতিয়ার নেই।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গাদের প্রতি আমরা সংহতি জানাই। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করছে। আমরা রোহিঙ্গা সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান চাই। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে গোয়েন লুইস বলেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে সংলাপ হয়েছে। এটা একটি কঠিন ও জটিল বিষয়।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ডোনারদের দেয়া ফান্ড থেকে জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাকি অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করা হয়। এ ব্যয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে।
জাতিসংঘের আবাসিক দূত বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০০ শান্তিরক্ষী রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ৫০০ নারী শান্তিরক্ষী রয়েছে। এটা খুব ইতিবাচক।