নতুন বড় প্রকল্প নেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

1171
শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

উন্নয়নমুখী ছোট প্রকল্প চলবে, তবে নতুন করে কোনো বড় প্রকল্প না নেয়ার অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিলাস পণ্য ব্যবহার না করে, কৃষিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ অনুশাসন দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সকালে শের-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বসে একনেক সভা, যেখানে সভাপতিত্ব করেন একনেক প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নিয়মিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন একনেক সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।

সভাশেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, পণ্য ও সেবার দাম কিছুটা কমেছে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে। অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে, সেপ্টেম্বর মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এতে আমরা খুশি, আমাদের কথা ফলে গেছে। আমরা আশা করি, এ সংকটের সময়ে আমাদের ভোক্তারা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ভোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না, তিনি এটি আগেও বলেছেন। আবার আজকেও তিনি বলেছেন, কে কী চাষ করবেন তা আমাদের বলে দেয়ার দরকার নেই। যার যা ভালো লাগে চাষ করেন।

ছোট ও উন্নয়নমুখী প্রকল্প চলবে, নতুন বড় প্রকল্প নেয়া হবে না বলে বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প যাচাই বাছাই এবং অনুমোদনের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে। ছোট, উন্নয়নমূলক ও গ্রামীণ প্রকল্পে আমরা কোনো আপস করব না, এগুলোকে আগের মতোই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সংকটের এ সময়ে বিলাসবহুল পণ্য ব্যবহার কমিয়ে, কৃষি উৎপাদনকে গুরুত্ব দিতে হবে।

একনেকে সভায় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৮৯ টাকা ব্যয়ে ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩২২ কোটি ২১ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

তিনি আরও বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৪টি এবং বাকি ৩টি সংশোধিত প্রকল্প।

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ টেকনাফ সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ অংশের জোটসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ -ও অঞ্চল-৪ এর সার্ভিস প্যাসেজগুলোর উন্নয়ন’ প্রকল্প; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ জন্যান্য উন্নয়ন কাজ’ প্রকল্প;

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; একই মন্ত্রণালয়ের নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প।

তাছাড়া ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি এবং ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত)’ প্রকল্প; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন