আগামী ৮ নভেম্বর হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এরই মধ্যে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন নাগরিক। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে ৫০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে আগাম ভোটগ্রহণ। এতে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন নাগরিক। সিএনএনের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ ভোট পড়তে পারে এবারের আগাম নির্বাচনে।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা। ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থীদের মনোবল বাড়াতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গরাজ্যটিতে রিপাবলিকান প্রার্থী হার্শেল ওয়াকারের বিরুদ্ধে লড়ছেন ডেমোক্র্যাটের রাফায়েল ওয়ারনক। বিশাল এই সমাবেশ থেকে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও অংশ নিচ্ছেন মধ্যবর্তী নির্বাচনী প্রচারণায়। শুক্রবার পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন তিনি। কংগ্রেসের দুই কক্ষেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন বাইডেন।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত কেমন হবে তা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে। এটা একদম পরিষ্কার। এই নির্বাচন কোনো গণভোট নয়। দেশ পরিচালনার ভার যে দুই দলের উপর দেয়া হবে তাদের নির্বাচন করবে সাধারণ মানুষ।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বসে নেই রিপাবলিকানরাও। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে নির্বাচনী প্রচারণায় আগেই মাঠে নেমেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অর্থনৈতিক মন্দা, বন্দুক সহিংসতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং অভিবাসী সংকটসহ নানা কারণে চাপের মুখে আছে বাইডেন প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ক্ষমতাসীনরা। সেক্ষেত্রে মেয়াদকালের বাকি দুই বছর বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন রিপাবলিকানরা।