‘কামাল পাশা’ কবিতায় তুরস্কের জাতির জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের কথা লিখেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার প্রতি সম্মান রেখে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়কের নামকরণও হয়। তাই বরাবরই ঢাকার সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।
এ সম্পর্কের ব্যপ্তি ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক খাতেও। এই সম্পর্কের গতিপথ আরও সমৃদ্ধ করতে চায় তুরস্ক। আগামী বছরের জুনের পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদুত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
এই কূটনীতিক বলছিলেন, আগামী বছরের জুনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আমাদের প্রেসিডেন্ট এখন রাজনৈতিক প্রচারে ব্যস্ত। কিন্তু আমি নিশ্চিত, খুব তাড়াতাড়ি তিনি সময় বের করে বাংলাদেশে আসবেন।
তুরস্কে বাংলাদেশের তৈরি পোষাক খাতের বেশ কদর আছে। এছাড়া প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দেশটি বিনিয়োগে আগ্রহী।
মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্কের টেক্সটাইল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হয়েছে। আমরা এই সম্ভাবনাকে উজ্জল করতে চাই। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগ খাতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো উত্তরণে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
এছাড়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, পর্যটনের দ্বার উন্মুক্ত ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতেও নজর কম নয় আঙ্কারার।
তুরস্কের এ রাষ্ট্রদুত বলেন, আমাদের কাছে ভালো মানের অস্ত্র রয়েছে। গত ১৫ বছরে আমরা এই খাতকে সম্ভাবনাময় করে তুলেছি। ড্রোন, মিসাইল, নেভাল ও এয়ার ক্রাফটের সমৃদ্ধ খাত রয়েছে আমাদের। তুরস্কে বাংলাদেশের বহু পর্যটক যাচ্ছে। আমাদের ভিসা দফতর এই মুহূর্তে খুব ব্যস্ত। তবে, আমার ইচ্ছা, তুরস্ক থেকে বাংলাদেশেও পর্যটক আসুক। এই দেশ খুব সুন্দর। আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
এ দেশের সবুজ প্রকৃতি ও মানুষ বড্ড বেশি আপন লাগে রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরানের। তাই, চাকরি জীবনের ৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে সেরা তিনে রাখতে চান।