বাংলাদেশসহ ৪৫ দেশে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা জাতিসংঘের

1319
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

যুদ্ধের ডামাডোলেই যেন অবশেষে প্রকাশ্যে আসছে দেশে খাদ্য উৎপাদনের বেহাল চিত্র। একসময়ের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশেই এখন দুর্ভিক্ষের শঙ্কা। বাংলাদেশকে নিয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

স্বয়ংসম্পূর্ণতার বুলি আওড়ানোর এই দেশে গত বছর খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার টন। শুধু চালই আমদানি হয়েছে ৮৬ কোটি টাকার। আর গম আমদানিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের।

এমনই বাস্তবতায় বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, বিশ্বে চরম খাদ্য সংকটে পড়ার আশংকায় থাকা ৪৫টি দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশও।

ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্ল্যাসিফিকেশনের সম্প্রতি প্রকাশিত হিসাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকেও বাংলাদেশের অবস্থান ১৯ দশমিক ৬, যা গুরুতর অবস্থা নির্দেশ করে।

উর্বর ভূমির বাংলাদেশ কেন এই সংকটের রোষানলে পড়ছে। কেনই বা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এতদিন পর? দুর্ভিক্ষের ছোবল থেকে বাঁচতে কৃষির সব উপখাতে সামঞ্জস্যের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি বলেন, আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা বলে, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য বা ডেটা বলে দেয়, আমরা কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধি সর্বনাশ করে ফেলেছে।

অর্থনীতিবিদ ড. মো. মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সংযোগ করা উচিত, যেখানে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, চলতি বছর বিশ্বব্যপী খাদ্যশস্য উৎপাদন কমবে ২ দশমিক ১ শতাংশ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন