আ’লীগ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে : ফখরুল

1134
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম থেকেই পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, ১৯৭১ সাল থেকে করেই আসছে। আজকে ‘দানব সরকার’ আমাদের নির্যাতন করছে। এই সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটেছে অসত্যকে পরাজিত করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে।

আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ অনেক নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।

দেবি দুর্গার আবির্ভাব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা দানব সরকার দেশের মানুষকে নির্যাতন করছে। আজকের এই দিনে শপথ নিতে হবে আগামীতে অতি দ্রুত সাম্য কায়েম করবো, এটাই হোক শপথ।
তিনি বলেন, দেশে একটা দানব সরকার জনগণের ওপর নির্যাতন করছে। আমরা একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে শান্তিতে বসবাস করার জন্য, অথচ স্বাধীনতার আজ ৫০ বছর পরেও শান্তি নেই।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আন্দোলন চলবে। এতে আপনারা শরিক হবেন। আমাদের আন্দোলন বর্তমান সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য। সেই দাবিতেই আমরা আন্দোলন করছি।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন