১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছরই ঘোষণা করা হচ্ছে নোবেল পুরস্কার। যেখানে সবার আগ্রহ থাকে কে পাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। তবে এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার ঘোষণার পর থেকেই সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি হয় আলোচনা সমালোচনা।
তবে পুরস্কার ঘোষণার আগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে শান্তি পুরস্কারের জন্য কারা মনোনয়ন পেলেন তাদের নাম উল্লেখ করে খবর প্রকাশ করা হয়।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি মূলত নাম ঘোষণা করেন, কে পাচ্ছেন এই পুরস্কার। তবে মনোনয়ন করতে পারবেন ৯ ক্যাটাগরির ব্যক্তিরা। নোবেল ফাউন্ডেশন বলছে এই ৯ ক্যাটাগরির পক্ষ থেকে কোন নাম আসলে তা বৈধ হবে।
তবে প্রশ্ন, কাদের বা কাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হলো সেটা কী প্রকাশ করা হয়?
নোবেল ফাউন্ডেশন বলছে, কাদের বা কাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার নাম তারা প্রকাশ করে না। ৫০ বছরের আগে জানার সুযোগ নেই কাকে বা কাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন, গণমাধ্যমে যে নামগুলো আসে সেগুলো কী সঠিক নয়? নোবেল কমিটি বলছে, তাদের পক্ষ থেকে কোন নাম প্রকাশ করা হয়না। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে যে নামগুলো আসে সেগুলো হয় অনুমানভিত্তিক বা ব্যক্তিগতভাবে কেউ সেই নাম বলে থাকতে পারেন। তবে নামগুলো মনোনয়নের তালিকায় থাকে কিনা তা জানার সুযোগ নেই।
যেমন গত বছর যে দুজন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন তাদের নাম কোন আলোচনাতেই ছিল না। আবার গ্রেটা থুনবার্গের নাম বিগত কয়বছর ধরেই আলোচনায় কিন্তু সে পায়নি নোবেল পুরস্কার।
১৯০১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১০২ বার আর পুরস্কার পেয়েছেন ১৩৭ জন। এরমধ্যে ব্যক্তি ১০৯ জন আর প্রতিষ্ঠান ২৮টি। আর ৬টি ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো থেকে পেয়েছে ৫২%। উত্তর আমেরিকা থেকে পেয়েছে ৩২%, এশিয়া থেকে পেয়েছে ৭%, আফ্রিকা থেকে পেয়েছে ৩%, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পেয়েছে ১% আর ওশেনিয়া থেকে পেয়েছে ২%।