নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণ রোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেগুলো হয়নি। আরও বেশি দূষণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সবার সহযোগিতায় নদীতীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে কাজ করছি। তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন এবং সাহস জুগিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ-র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি–এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি, নদীকে আলোচনায় আনতে হবে; নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে। জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে; নদীর সঙ্গে চলে এসেছে–এটা আমাদের সফলতা। নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নদীর নাব্য রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ-র জন্য অনেক ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন; সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব্য রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল এবং রাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে আজ নদীর নাব্য ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো, নদীর প্রবাহ ও নাব্য কমে গেছে; দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। সে থেকে বুঝতে হবে, বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেননা, শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা-উপশিরা প্রয়োজন, তেমনি নদী দেশের সব ধরনের প্রবাহ রাখতে সহযোগিতা করে।
নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্ছের সম্মুখীন হতে হয় জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মতো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।