তুরাগের ওসির নির্দেশে প্রবাসির জমির বাউন্ডারি নির্মানে বাধার অভিযোগ

1294
শেয়ার করতে ক্লিক করুন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উত্তরা ১৫ নাম্বার সেক্টার সংলগ্ন পাকুরিয়া এলাকায় লন্ডন প্রবাসির ১৬ কাঠা জমির সীমানা প্রাচির নির্মানের সময় বৃহস্পতিবার তুরাগ থানার ওসি মেহেদি হাসানের নির্দেশে এসআই মশিউরের নেতৃত্বে জমির বাউন্ডারি নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঝন্টু কাজী দীর্ঘ ২২ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন এবং তিনি সেখানকার নাগরিক এবং বাংলাদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা সিআইপি । জমিতে বাউন্ডারি দেওয়ার লক্ষে নির্মান শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন ঝন্টু কাজি । হঠাৎ অতীশ দিপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন তার জমির ভিতরে তাদের অল্প কিছু জমি আছে বলে দাবি করে এবং এসিল্যান্ডকে দিয়ে হুমকি প্রদান করে জমিতে এখন বাউন্ডারি দেওয়া যাবেনা কিন্তু পরবর্তিতে এসিল্যান্ড বুজতে পারেন এটা ঝন্টু কাজির কেনা সম্পত্তি এবং এখানে ভেজাল নেই তখন তিনি নিজ থেকেই সরে যান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজন বৃহস্পতিবার সকালে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোর করে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে কিন্তু স্থানিয় এলাকাবাসি একযোগে প্রতিহত করে প্রবাসি ঝন্টু কাজীর পক্ষ নিয়ে সামনে আসলে তারা পালিয়ে যায় । ঘটনার পর থানায় জানালেও তারা ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সন্ধায় এসআই মশিউর ঘটনাস্থলে এসে জমির মালিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ,ভয়ভিতী প্রদর্শন এবং ওসিকে মোবাইলে বলে “পুলিশের সাথে খারাপ আচরন করতেছে জমির মালিক ” তারে ধরে নিয়ে আসি স্যার ।

এ বিষয়ে ঝন্টু কাজী বলেন , আমি বাংলাদেশের অর্থনিতীতে ভূমিকা রাখছি আমার কষ্টের টাকায় এক যুগ আগে এই জমি কিনেছি আমি কাউকে এক পয়সা চাদা দিবো না । এসআই মশিউরের সাথে আমার কোন ঝামেলা নেই সে হটাৎ সাংবাদিকের সামনে এসে বলতেছে ধরে নিয়ে যাবে এটা কি মগের মুল্লুক ? আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর এসআই মশিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিব সে কিসের ভিত্তিতে আমার জমির কাজ বন্ধ করলো ?

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটের গাঁথুনী দেয়া সীমানা প্রাচীরের আংশিক কাজ হয়েছে এর মাঝেই পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ বন্ধ । ঘটনাস্থলে এসআই মশিউরকে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি ওসির নির্দেশে এসেছি , ওসির সাথে কথা বলেন । তার অশালিন কথা বার্তার ভিডিও করতে চাইলে সে ঝন্টু কাজিকে গালি গালাজ করতে থাকে । এবিষয়ে তুরাগ থানার ওসিকে একাধিক কল দিয়ে পাওয়া যায়নি । পুলিশের উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোর্শেদ আলম জানান, চাদার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে আর আমি ডিসি আমি তো ওসি না যে ফিল্ডের বিষয়ে বলবো ।

শেয়ার করতে ক্লিক করুন