সরকার প্রধানের ভারত সফরে বরাবরই আলোচনায় থাকে চাওয়া পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। চায়ের দোকান থেকে রাজনীতির মাঠ, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কথা বলেন যে যার মতো। সে পালে বাড়তি হাওয়া দিয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য।
অন্যান্য বারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কথার লড়াইয়ে বড় দুই দল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের যা যা দরকার, আমরা যা যা চেয়েছি ভারত আমাদের সব দিয়েছে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমদের অনেক আশা দিয়েছেন, এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, অমুক হবে, তমুক হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনটাই হয় নাই।
তবে রাজনীতি ময়দানের আলোচনা ছাপিয়ে কি বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা?
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ভারতীয় রাজনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না, আমাদের রাজনীতিতেও এর প্রভাব থাকা উচিত না। নির্বাচনের আগের বছর প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন, এর প্রভাব কেন নির্বাচনে পড়বে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আমেনা মহসিন বলেন, আমি মনে করি না পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এ সফরের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে। কারণ এ সফরে বাংলাদেশের শুধু ভারত থেকে কিছু নেয়ার আছে তা নয়, ভারতেরও এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ভীষণ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ভারত অমীমাংসিত ইস্যু পেছনে পড়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ত্রিমাত্রিক সংকটে। যেখানে বিশ্ব স্পষ্টই বিভক্ত। ফলে তিস্তা নেই আলোচনায়, প্রাধান্য পায় জ্বালানি সংকট মেটানো আর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা।
সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিদ্যুৎ আমদানি করি, ডিজেল আমদানি করি কিন্তু আমাদেরতো নেপাল এবং ভুটানের জলবিদ্যুৎ থেকে উপকৃত হওয়ার দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের একটা সুযোগ আছে।
সফরে সামরিক নিরাপত্তা, সীমান্ত অপরাধ কমিয়ে আনাসহ নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য সরবরাহে একমত হন দুই দেশের সরকার প্রধান।