১২ বছর পর কাল দিল্লিতে বসছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের শীর্ষ বৈঠক। ঢাকার অগ্রাধিকারে থাকলেও এবারের বৈঠেকও সই হচ্ছে না তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়ে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হচ্ছে দু’দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রীর বৈঠকে। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরে এটি সই হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১১ সালে সব চূড়ান্ত হওয়ার পরও তিস্তা চুক্তি সই হয়নি। তারপর অনেক আশ্বাস, হাজারো চেষ্টা। বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সরকার প্রধানের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরও দিল্লি আর কলকাতার টানাপোড়েনে অনিশ্চিত তিস্তা চুক্তির ভবিষ্যৎ।
এমন অবস্থায় প্রায় একযুগ পর অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আলোচনা শুরুটাকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ঢাকা। এরইমধ্যে মঙ্গলবার শেষ হয়েছে সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এবারও ঢাকার অগ্রাধিকার, ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, তিস্তার ওপর আমরা জোর দেব। ২০১১ সালে এ চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তা হয়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য বড় রাজনৈতিক ইস্যু এই তিস্তা। পাশাপাশি চুক্তি না হওয়ার ফলে যে দুর্ভোগ-দূর্যোগ বাড়ছে, সে কথাও আরেকবার শক্ত করে বলতে চায় বাংলাদেশ।
জাহিদ ফারুক বলেন, রাজনীতির চেয়ে আমরা মানবতাকে বেশি প্রধান্য দিয়ে বলতে চাচ্ছি যে, লক্ষ-লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য তিস্তার পানি প্রবাহটা দরকার। পানির সমবণ্টন দরকার।
অভিন্ন ৫৪ নদীর মধ্যে তিস্তাসহ ছয়টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা চলমান। এর মধ্যে কুশিয়ারা থেকে ভারতের আপত্তিতে পাম্প হাউস তৈরি করেও পানি তুলতে পারছে না বাংলাদেশ। এই নদীর পানি প্রবাহ ৯০ শতাংশ হওয়ায় সমঝোতা হলে দু’দেশই লাভবান হওয়ার কথা।
পাশাপাশি গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে এবার। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের নেতৃত্বে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হচ্ছে। এটি ইতিবাচক উন্নতি হিসেবে দেখতে চাই। সময়টাও ভালো, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী সফরে যাওয়ার আগে বৈঠক হচ্ছে।